ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন
থানার এসি-টিভি খুলে বাসায় নিলেন ওসি!
উখিয়া নিউজ ডেস্ক :

ভূঞাপুর থানার ওসি মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম থানায় লাগানো আইপিএস, এসি, টেলিভিশন ও সোফা খুলে নিয়েছেন। পরে আসবাবপত্রগুলো থানা থেকে তার কোয়ার্টারের সামনে রাখা হয়।

এভাবে থানার জিনিসগুলো খুলে নেওয়ার ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। থানার সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য যারা জিনিসগুলো উপহার দিয়েছেন তারা বিরূপ মন্তব্য করেছেন।

শুক্রবার রাত ৯টার দিকে থানার পুলিশ সদস্য উদয় ও বহিরাগত আরিফ এবং ভ্যানচালকের সহায়তায় থানার জিনিসপত্রগুলো খোলা হয়। এরপর সেগুলো থানা থেকে ভ্যানযোগে ওসির কোয়ার্টারে নেওয়া হয়।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার স্বাক্ষরিত স্মারক নং ৫১৭০/১ (৪৯)(আরওআই) আদেশে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার এই বদলির আদেশের পরদিন শুক্রবার রাতে থানার আইপিএস, এসি, টেলিভিশন ও সোফা খুলে নেওয়া হয়।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, জিনিসপত্র ব্যক্তিগত কাউকে দেওয়া হয় না। থানায় যে ওসি আসবেন তিনিই ব্যবহার করবেন এজন্যই জিনিসপত্রগুলো কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে। এত নিচু মন মানসিকতার ওসি সেটা জানা ছিল না।

পুলিশ সদস্য উদয় বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে জিনিসপত্রগুলো খুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর সেগুলো ভ্যানযোগে ওসির স্যারের কোয়ার্টারে রাখা হয়েছে।

নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভপতি জুরান আলী মন্ডল বলেন, থানার সৌন্দর্য বর্ধন ও থানার যেই ওসি আসুক তারা যেন সুবিধাটা ভোগ করতে পারে সেজন্য বালু মহালের টাকা দিয়ে জিনিসপত্রগুলো দেওয়া হয়েছে থানার স্বার্থে, কারো ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়। শুনেছি তিনি সেগুলো খুলে নিয়ে যাচ্ছেন এটা ঠিক না। তাকে ব্যক্তিগতভাবে দেওয়া হয়নি তার চেয়ারটাকে সম্মান করে দেওয়া হয়েছে।

ভূঞাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফর রহমান বলেন, ওসির টাকায় কেনা জিনিসপত্র হলে তো তিনি নিতেই পারেন। এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।

ওসি মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, যেগুলো থানা থেকে খোলা হয়েছে সেগুলো ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে কেনা। তাই সেগুলো আমি নিতেই পারি।

কালিহাতী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দীন শরিফ বলেন, ওসির টাকায় কেনা হলে নিতে পারবেন। তবে থানায় দেওয়া অন্যের জিনিসপত্র তিনি নিতে পারবেন না। আমি এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, কারো অনুদানের টাকায় কিনে থাকলে সেগুলো ওসি নিতে পারেন না। যদি ব্যক্তিগত টাকায় কেনা হয় তাহলে নিতে পারবেন। যদিও এই বিষয়ে কিছুই জানি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *