মানবপাচারের অভিযোগে উখিয়া ও টেকনাফ থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে তিনজনকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। তারা হলো, টেকনাফের নতুন পল্লানপাড়ার কলিম উল্লাহ, লম্বরী গ্রামের তারিকুল ইসলাম ও উখিয়ার ক্যাম্পের বালুখালীর ক্যাম্পের বাসিন্দা এনাম উল্লাহ।
এ সময় তাদের হাতে জিম্মি থাকা কেফায়েত উল্লাহ নামে এক রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার থেকে ফেরত আনা হয়েছে। তিনি উখিয়ার ক্যাম্প-১৯ এর বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে উখিয়া ৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, ৮ জুলাই ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কেফায়েত উল্লাহ (২৪) ও হামিদ হোসেন (২৫) নামে দুই ব্যক্তিকে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে টেকনাফের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় মানবপাচারকারীরা। পরে সেখান থেকে হামিদ হোসেন কৌশলে পালিয়ে আসলেও কেফায়েত উল্লাহকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় মিয়ানমারে পাচারকারীদের কাছে। সেখানে তাকে আটকে রেখে মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পরিবারের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। এই ঘটনা জানার পর উখিয়া ও টেকনাফে একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তাদের মাধ্যমে মিয়ানমারে পাচার জিম্মি ওই রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়।
২০০৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সময়ে টেকনাফ উপকূল দিয়ে সাগরপথে ট্রলারে করে মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের ঘটনা ঘটত। পাচারের শিকার লোকজন মালয়েশিয়া পৌঁছলে তাদের মারধর করে পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে ছেড়ে দিত পাচারকারীরা। পরবর্তীতে পাচারের শিকার লোকজন অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করে সেখানে বিভিন্ন কাজে জড়াতেন। ওই সময় সাগর পথে মানবপাচারে মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় প্রশাসনের শক্ত অবস্থানে তা বন্ধ হয়। ২০২০ সালের দিকে এই রুটে আবার মানবপাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠে।
Leave a Reply