ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ অপরাহ্ন
কক্সবাজারে আটজনের মৃত্যুদণ্ড
উখিয়া নিউজ ডেস্ক :

বসতবাড়িতে ঢুকে খুনসহ ডাকাতি মামলায় কক্সবাজারে আট আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. মোশারফ হোসেন এ রায় দেন।

একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এ সময় আনোয়ার হোসেন নামে অপর এক আসামিকে ডাকাতির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে ১০ আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) শওকত বেলাল এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, একটি ডাকাতিসহ হত্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, কক্সবাজার শহরের টেকনাইফ্যা পাহাড় এলাকার মো. হাছানের ছেলে মঞ্জুর হোসেন, মৃত মো. কাছিম প্রকাশ কালাজুরীর ছেলে মো. আলম, পাহাড়তলী এলাকার মো. সৈয়দের ছেলে শহর মুলুক প্রকাশ কালু, দক্ষিণ রুমালিয়া ছড়া এলাকার এখলাছ মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন প্রকাশ কালুইন্যা ও ভোলা চরফ্যাশন থানার নুরাবদ এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে জসিম উদ্দিন। তারা বর্তমানে কক্সবাজার শহরের উত্তর রুমালিয়া ছড়ায় বসবাস করেন। এ ছাড়া পাহাড়তলী এলাকার আব্দু শুক্করের ছেলে মোস্তাক, টেকনাইফ্যা পাহাড় এলাকার আমির হোছনের ছেলে আক্তার কামাল ও সিটি কলেজ এলাকার গুরা মিয়ার ছেলে আমির হোসেন।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ওয়াহিদ মুরাদ, দিদারু আলম প্রকাশ দিদার, আবুল কালাম বরমাইয়া, আমিন, নুর মোহাম্মদ, রিয়াদ প্রকাশ দেলোয়ার প্রকাশ দুধুইয়া, শফিক প্রকাশ শফিক্কা, বকতিয়ার, আবদুর রহিম ও শফি।

রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

জানা যায়, ২০০০ সালের ১৫ জুন রাতে কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমলিয়া ছাড়র বাচামিয়ার ঘোনা এলাকায় একদল ডাকাত বাড়ির দরজা ভেঙে স্থানীয় বাসিন্দা মো. হোসনের বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় ডাকাত দল বাড়িতে ব্যাপক লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ছবুরা খাতুন বাদী হয়ে মঞ্জুর আলমকে একমাত্র আসামি করে কক্সবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ১৮ থেকে ২০ জনকে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ২০০৬ সালে ২৫ এপ্রিল মামলার চার্জ গঠন করে মামলার বাদী ও তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ মোট ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। বৃহস্পতিবার আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুাষ্টি প্রকাশ করলেও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তারা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *