ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫ অপরাহ্ন
টাকা নিয়ে উধাও এনজিও
উখিয়া নিউজ ডেস্ক :

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী কার্পাসডাঙ্গায় গ্রামবাংলা এন্টারপ্রাইজ নামে বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) দুই কর্মকর্তা স্থানীয়দের কাছ কিস্তিতে লোন দেওয়ার নামে দুই লাখেরও বেশি টাকা সঞ্চয় আদায় করে লাপাত্তা হয়ে গেছে।

রোববার (১৬ জুলাই) সন্ধায় এ বিষয়ে সংস্থার ম্যানেজার ও এরিয়া ম্যানেজারের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন একই সংস্থার মাঠকর্মী ইসমে আজম জিম।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহখানেক আগে উপজেলার সীমান্তবর্তী কার্পাসডাঙ্গা বাজারের একটি বাড়িতে গ্রামবাংলা এন্টারপ্রাইজ নামে বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) একটি সাইন বোর্ড টানানো হয়। ওই সময় স্থানীয় কার্পাসডাঙ্গা এলাকার ইসমে আজম জিম, সোহানা খাতুন, বিউটি খাতুন ও হাছিনা খাতুনকে মাঠ কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

পরে এলাকার অভাবগ্রস্ত মানুষের লোন দেওয়ার নামে সঞ্চয় আদায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়। উক্ত মাঠকর্মীরা ওই এলাকার বিভিন্ন গ্রামে সদস্য সংগ্রহ করে ও তাদের নিকট থেকে দুই লাখেরও বেশি টাকা সঞ্চয় আদায় করে। পরে তা সংস্থার ম্যানেজার মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার হাসান আলি ও এরিয়া ম্যানেজার একই এলাকার আল মামুনের নিকট জমা দেয়। সদস্যরা শনিবার (১৫ জুলাই) লোন নিতে অফিসে এসে দেখে অফিস তালাবদ্ধ। তখন তারা মাঠ কর্মীদের টাকার জন্য চাপ দিতে থাকলে তখন মাঠকর্মীরা ম্যানেজার ও এরিয়া ম্যানেজারকে ফোন দিলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। কোনো উপায় না পেয়ে মাঠকর্মী ইসমে আজম জিম রোববার দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে সংস্থার হাসান আলি ও এরিয়া ম্যানেজার একই এলাকার আল মামুনের নিকট মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই ওবাইদুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে; কিন্তু মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *