ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০১ পূর্বাহ্ন
৪০ ডাম্পার গিলে খাচ্ছে হরিণমারার পাহাড় !
সরওয়ার আলম শাহীন :

উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের খয়রাতি পাড়া গ্রাম থেকে শুরু করে হরিণ মারার গ্রামাঞ্চলের পাহাড় গুলো একে একে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় ভিলেজার ও হেডম্যানের ছত্রছায়ায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে সবুজ বনাঞ্চল ঘেরা পাহাড়গুলো। এখানে নির্বিচারে পাহাড় কাটা হচ্ছে। রাতে-দিনে পাহাড়ের মাটি বহনে নিয়োজিত রয়েছে চল্লিশটি অবৈধ ডাম্পার। মাসোহারা দিয়েই চলছে ৪০ অবৈধ ডাম্পার।
৪০ জনের সিন্ডিকেটটি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কয়েকজন । এদের মধ্যে রয়েছেন করিব আহম্মদ, সৈয়দ করিম, রেজা, জহির, মাহমুদুল হক, গফুর, আক্তার, বদি আলম।

স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় নির্বিচারে বালি উত্তোলন চলছে। পাশাপাশি চলছে বাধাহীন পাহাড় কাটা। আলোচিত ভিলেজার ও হেডম্যানরা ডাম্পার মালিকদের কাছে পাহাড় গুলো বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক বনে গেছে। হরিণমারা এলাকায় একটি কথার ব্যাপক প্রচলন রয়েছে, এখানে কর্মকর্তারা অবৈধ ডাম্পার গুলো ধরতে নয়, বরং টাকা নিতেই প্রতিদিন আসে। ডাম্পার গুলোর অলিখিত চুক্তি থাকার কারণে এসব অবৈধ ডাম্পার থেকে বিট কর্মকর্তা ও স্থানীয় ভিলেজাররা মাসিক হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় ভিলেজার হেডম্যানরা ডাম্পার মালিকদের বাধার পরিবর্তে সহযোগিতা করে যাচ্ছে বলে স্থানীয় জনগণের অভিযোগ। স্থানীয়দের মতে,মিলেমিশেই তারা এসব কাজ করছে তাই এসব বলে কি লাভ এমনটাই অভিব্যক্তি স্থানীয় আব্দুর রহিমের।

তিনি জানালেন,অনেক বলেছি। খবর দিয়েছি স্থানীয় বিট কর্মকর্তাকে। কিন্ত এমনও দেখা গেছে, তিনি পাহাড় কাটার স্থানে এসেছেন, এসে ডাম্পার মালিকদের সাথে চা খেয়ে আবার চলে গেছেন। তাই বুঝতে বাকি থাকে না ডাম্বার মালিকদের সাথে আমাদের চেয়ে তাদের সম্পর্ক ভালো।
এ ব্যাপারে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শফিউল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি, রাতের আঁধারে ডাম্পার গুলো বেশিরভাগ চলাচল করে। তবুও আমরা এসবের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *