ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন
হাতকড়া-ডান্ডাবেড়ি নিয়েই মায়ের জানাজা পড়লেন ছাত্রদল নেতা
উখিয়া নিউজ ডেস্ক :

হাতকড়া আর ডান্ডাবেড়ি নিয়ে মায়ের জানাজা পড়লেন ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা। মায়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে গত রোববার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে নিজ বাড়ি শরীয়তপুরের সুজন দোয়াল এলাকায় জানাজায় উপস্থিত হন তিনি।

সেলিম রেজার মা নাসিমা অসুস্থ হয়ে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় মারা যান। স্বজনরা জানান, মায়ের জানাজা নিজে পড়াতে আইনজীবীর মাধ্যমে রোববার সকালে জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন সেলিম রেজা। পরে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত তিনি প্যারোল পান। তবে তার মুক্তি নিয়েও টালবাহানা করা হয় বলে অভিযোগ করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে পুলিশি পাহারায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে রাত ৩টার দিকে শরীয়তপুরের বাসায় পৌঁছান সেলিম রেজা। সোয়া ৩টায় নিজ বাড়ির পাশে মায়ের জানাজাস্থলে উপস্থিত হন তিনি। জানাজা শেষে ৪টার দিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পুরোটা সময় হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা ছিলেন সেলিম রেজা।

জানাজায় উপস্থিত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ সমকালকে জানান, জানাজার সময়ও সেলিম রেজার হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে দেওয়া হয়নি। এতে জানাজায় উপস্থিত লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে এতে কর্ণপাত করেনি প্রশাসন।

গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দলের সিনিয়র নেতা ও অন্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজাকেও আটক করা হয়। ওই ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় তিনি কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।

সেলিম রেজার সঙ্গে এ ধরনের আচরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।

এর আগে মায়ের মৃত্যুতে গত ২০ ডিসেম্বর তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পান গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজম। নিজ বাড়িতে নেওয়ার পর তিনি নিজেই মায়ের জানাজা পড়ান। এ সময় তাঁর হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরানো ছিল। এ ঘটনার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনা হয়। মায়ের জানাজায় হাতকড়া-ডান্ডাবেড়ি পরানোকে ‘অমানবিক’ বলে বিবৃতি দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *