পারিবারিক কলহ, স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের জেরে প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের মেয়ে বৃষ্টি আক্তারের। প্রথম ঘরের দুই মেয়েকে বড় বোনের কাছে রেখে গাজীপুরে গার্মেন্টেসে চাকরি নেন। সেখানেই পরিচয় হয় আসাদুল ইসলামের সঙ্গে। তার প্ররোচনায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু দ্বিতীয় স্বামী আসাদুলেরও অনৈতিক কাজ, যৌতুকের জন্য চাপ আর বেতনের টাকা আত্মসাৎ ঘিরে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।
পারিবারিক কলহ ও দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৩ জানুয়ারি রাতে বৃষ্টি আক্তারকে (২৩) শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পালিয়ে যায় আসাদুল ইসলাম (২৬)। ঘটনার পর কেউ জানত না বৃষ্টি খুন হয়েছে। দুদিন পর বৃষ্টির পরিবারের উপস্থিতিতে মরদেহ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
ঘটনার চাঞ্চল্যতায় ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-৪। গতকাল (রোববার) রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বৃষ্টি আক্তার হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্বামী আসাদুলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪ এর একটি দল।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি দুপুরে আশুলিয়ার কাঠগড়া সরকারবাড়ী এলাকার একটি ভাড়া বাড়ির একটি কক্ষ থেকে বৃষ্টি আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঘটনায় ওই দিন রাতেই আসাদুলসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়। ওই ঘটনায় র্যাব-৪ এর একটি গোয়েন্দা দল পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে হত্যার মূল অভিযুক্ত আসাদুলকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বৃষ্টিকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
Leave a Reply