প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। করোনার প্রকোপ কাটিয়ে ওঠার পরে যুদ্ধ এবং স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশনের ফলে বিশ্ব অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে না। বাংলাদেশের মানুষকেও কঠিন সময় অতিক্রম করতে হচ্ছে। সামনে আরও কঠিন সময় আসবে।
বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনির্মিত ‘সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল’ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যেখানে উন্নত দেশগুলো নিজেদের দেশ নিয়েই হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে আমাদের মতো দেশ, ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, ভৌগোলিক সীমারেখায় যেটা ছোট, কিন্তু জনসংখ্যার দিক থেকে বিশাল, সেখানে এই স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে তাদের সার্বিক সেবা দেয়া যে কত কঠিন দায়িত্ব, সেটা আমি উপলব্ধি করতে পারি।’
বিশ্বের প্রতিটি দেশে নিত্যপ্রয়োজনীর সামগ্রীর দাম বেড়ে গেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে বলা হচ্ছে। খাদ্য কেনার ক্ষেত্রে রেশন করে দেয়া হচ্ছে। উন্নত দেশগুলো, আপনি আমেরিকা বলেন, ইংল্যান্ড বলেন, ইউরোপ বলেন, সেসব দেশে কিন্তু এই অবস্থা চলমান।’
এমন বাস্তবতায় মিতব্যয়, সঞ্চয় ও খাদ্য উৎপাদনের সমাধান দেখছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদেরও আরও মিতব্যয়ী হতে হবে। আমাদেরও নিজেদের দেশে উৎপাদন বাড়াতে হবে। কারণ এই যে ধাক্কাটা এলো, একটা তো করোনা, তারপর যুদ্ধ—এর ফলে সামনে কিন্তু আরও বেশি কঠিন সময় আসবে।’
চিকিৎসক-নার্সদের আরও বেশি আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, চিকিৎসাসেবা যেন উপজেলা পর্যন্ত নিশ্চিত হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। চিকিৎসকদের আরও আন্তরিক হতে হবে। গ্রামে যেতে হবে। সাধারণ মানুষদের চিকিৎসাসেবা দিতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বেসরকারি খাতে হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেবা নিশ্চিতে সরকারের নেওয়া উদ্যোগের সুফল পাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউ প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, বিএসএমএমইউ ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
Leave a Reply