চট্টগ্রাম
বন্দর নগরীতে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে বিজয় দিবস। শনিবার ভোরের আলো ফুটতেই মানুষের ঢল নামে নগরের মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অস্থায়ী শহীদ মিনারে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ। দিনভর নানা আয়োজন ছিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের। জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা প্রমুখ।
রাজশাহী
বিজয় দিবস উদযাপনে প্রথম প্রহর থেকেই রাজশাহী নগরীর শহীদ মিনারগুলোতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনিসুর রহমান প্রমুখ। পৃথক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।
উখিয়া
কক্সবাজারের উখিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার ( ১৬ ডিসেম্বর ) সকালে উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে থানা প্রশাসন, রাজনৈতিক, সামাজিক, সরকারি বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান পৃথকভাবে দিবসটি পালন করেছে।
উখিয়া উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে ছিল উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সহ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারী, আধা-সরকারী- বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদদের স্বরণে শহীদ বেদিতে পূষ্পার্ঘ অর্পন, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজ এবং শিক্ষার্থীদের শরীর চর্চা প্রদর্শণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, পুরষ্কার বিতরণী, সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
Leave a Reply