ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০১ অপরাহ্ন
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকছে সন্ত্রাসীরা, অস্ত্রধারী অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে মামলা
উখিয়া নিউজ ডেস্ক :

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের মধ্যে দেশটির সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিরা পালিয়ে আসছেন বাংলাদেশে। কৌশলে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছেন সীমান্তের ওপারের রোহিঙ্গারা। কিছু প্রতিহত করা গেলেও অনেকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। তাদের মধ্যে অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী থাকার খবর পাওয়া গেছে। সন্ত্রাসী নবী হোসেন গ্রুপের কিছু সদস্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ ঢুকে পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় সূত্র। অস্ত্রসহ অনুপ্রবেশকারী ২৩ জনকে মামলা দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি–বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে ও ভোরে কক্সবারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতবিল ও আনজুমানপাড়া সীমান্ত দিয়ে কিছু অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন গ্রুপের কিছু সদস্য রয়েছে। এই সন্ত্রাসীরা রহমতবিল সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে থাকত। সেখানে তাদের আস্তানা ছিল।

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার মিয়ামনার থেকে পালিয়ে আসা বেশিরভাগ লোক বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করে অস্ত্র জমা দিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। আরও ৩০ জনের বেশি অস্ত্রধারী রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ তাদের বিজিবি হেফাজতে দিয়েছে।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলতাজ হোসেন জানান, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীদের একটি গোষ্ঠী দীর্ঘ দিন সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে থাকত বলে শোনা যেত। মঙ্গলবার এই গোষ্ঠীর অন্তত ৫০-৬০ জন অস্ত্র নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকে গেছে। যদিও একই চক্রের ৩০-৩৫ জন অস্ত্রধারী রোহিঙ্গাকে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করেছে।

বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (৮ এপিবিএন) সহ -অধিনায়ক পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশ করার বিষয়টি জানি না। তবে মঙ্গলবার রাত থেকে সন্ত্রাসী নবী হোসেন ও তার গ্রুপের সদস্যরা মিয়ানমার থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের তথ্য জানা গেছে। সে ক্যাম্পে প্রবেশ করতে পারে এমন আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্কতা পালন করা হচ্ছে। তাকে পাওয়া মাত্রই গ্রেপ্তার করা হবে। এ ছাড়া সন্ত্রাসীসহ ক্যাম্পে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য এপিবিএন সজাগ রয়েছে।’

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানান, অনুপ্রবেশকারী ২৩ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। অনুপ্রবেশকারীদের জমা দেওয়া ১২-১৫টি অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। অনুপ্রবেশকারী ২৩ জন মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *