ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিরতার মিশনে মিয়ানমার!
প্রতিদিনের বাংলাদেশ ::

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম আসাদ আহমাদ খানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে। কুতুপালংয়ের ১-পশ্চিম নম্বর ক্যাম্পের এ/১ ব্লকে তারা যখন রোহিঙ্গাদের মুখে মিয়ানমারে চালানো নির্যাতনের কথা শুনছিলেন, ঠিক তখনই পাশের ১-পশ্চিম নম্বর ক্যাম্পের এ/৯ ব্লকে এবাদুল্লাহ নামের একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি ওই ব্লকের উপপ্রধান (সাব-মাঝি) ছিলেন।

এ ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ও এপিবিএন নিশ্চিত হয়েছে, আইসিসি প্রতিনিধি ক্যাম্পে আসার পর সাধারণ রোহিঙ্গাদের জড়ো করতে কাজ করছিলেন সাব-মাঝি এবাদুল্লাহ। রোহিঙ্গাদের ডাকতে ঘরে ঘরে ছুটেছিলেন তিনি। আর এই কারণে তাকে খুন হতে হলো।

এই ঘটনার পরদিন গতকাল শুক্রবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরও ছয়জন খুন হন। তাদের মধ্যে উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় পাঁচজন নিহত হন। এদিন বিকালে ক্যাম্প থেকে আরও এক রোহিঙ্গার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্প অস্থিরতার মিশনে মিয়ানমার বড় ধরনের পরিকল্পনাসহ ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখছে। যখন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ও মিয়ানমারবিরোধী কোনো ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা হয় তখন ক্যাম্পের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টি করা হয়। বিশেষ করে গতকালের গোলাগুলির ঘটনা একদম পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন এক রোহিঙ্গা নেতা।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিরতার জন্য যে মিয়ানমার ও দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দায়ী, তা ফুটে উঠেছে গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের এক বক্তব্যেও। তিনি মনে করছেন, মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকে হত্যার ঘটনা ঘটাচ্ছে।

অবশ্য রোহিঙ্গা ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর জানান, প্রাথমিক দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, এসব ঘটনা পরিকল্পিত এবং টার্গেট কিলিং। আন্তর্জাতিক আদালতের লোকজন ক্যাম্পে আসার পর যে ঘটনাটি হয়েছে, এটা তাদের জন্য ততটা প্রভাব পড়বে না। তবে রোহিঙ্গারা যে উচ্ছৃঙ্খল, তা প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে বিভাজন করে যা হচ্ছে, তা তাদেরই ক্ষতি। এটা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সজাগ হতে হবে। এক্ষেত্রে সব বাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ পরিকল্পনা ও অভিযান, অস্ত্রের উৎস বের করা জরুরি।

গতকাল ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বালুখালীর ৮ (পূর্ব) নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরসা ও আরএসও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার (অপারেশন ও মিডিয়া) ফারুক আহমেদ।

তিনি জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে গতকাল ভোরে দুটি সংগঠনের সন্ত্রাসীরা গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে। এপিবিএন ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে তিনজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। আহত অবস্থায় দুজনকে পার্শ্ববর্তী আইএমও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। নিহতরা সবাই বিচ্ছিন্নতাবাদী আরসার সদস্য বলে দাবি করেন ফারুক আহমেদ।

নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেনÑ ৮ নম্বর ক্যাম্পের এইচ-৪৯ ব্লকের আবুল কাশেমের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৪), এ-২১ ব্লকের জাকারিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হামীম (১৬), ১০ নম্বর ক্যাম্পের এইচ-৪২ ব্লকের আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. নজিমুল্লাহ (২৬) ও ১৩ নম্বর ক্যাম্পের বি-১৭ ব্লকের আবুল বাশারের ছেলে নুরুল আমিন (২৪)।

উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, নিহত পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে একই সঙ্গে এপিবিএনের সহযোগিতা জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।

এদিকে একই ক্যাম্প থেকে বিকাল ৫টায় সানাউল্লাহ (৪৫) নামে এক রোহিঙ্গার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ১১ নম্বর ক্যাম্পের ডি-ব্লকের বাসিন্দা। তাকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে গলা কেটে দেওয়া হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে গতকাল ভোরের গোলাগুলির কোনো যোগসূত্র আছে কি না, নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান উখিয়া থানার ওসি।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৮২টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে চলতি বছরেই ৪৯ জন, যাদের মধ্যে ৩২ জনই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্যবস্থাপনায় জড়িত নেতা ও স্বেচ্ছাসেবক। তারা নানাভাবে রোহিঙ্গাদের অপরাধ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে আগ্রহী হতে কাজ করেছেন। শুধু গত এক বছরে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে চার শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও ১৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ফলে এসব খুনের নেপথ্যে মিয়ানমারের মিশন রয়েছে বলে দাবি একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। সংশ্লিষ্ট তথ্য বলছে, মিয়ানমার রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক ৩০টির বেশি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে। একই সঙ্গে মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ করছে। আর এসব সন্ত্রাসী মাদকের টাকার লোভে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছে। গত এক বছরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ৩০ লাখের বেশি ইয়াবা, ৩০ কেজি আইসসহ আট শতাধিক রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। আর এই মাদকের জের ধরে ১৩৬ রোহিঙ্গা অপহরণের ঘটনায় ১৮ মামলায় ২৯ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর বাইরেও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের আলোচনা ঠেকাতে অনেকগুলো ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২২২টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে ৬৩টি নাশকতামূলক বা ইচ্ছে করে লাগানো হয়েছে।

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের প্রধান লক্ষ্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিরতা তৈরি করা এবং বিভাজন বাড়ানো। এতে করে প্রত্যাবাসনের রোহিঙ্গা ও মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী রোহিঙ্গাদের টার্গেট করে খুন করা হচ্ছে। যেমনটি হয়েছিল ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর। ওই দিন হত্যা করা হয় রোহিঙ্গাদের শীর্ষস্থানীয় নেতা মুহিবুল্লাহকে। তিনি রোহিঙ্গা অধিকারের পক্ষে কথা বলে প্রত্যাবাসনের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন, এ কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে। এর নেপথ্যের পরিকল্পনাকারী বলা হয়েছে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরসাপ্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার ওরফে জুনুনিকে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তৎপর সশস্ত্র গোষ্ঠীর ১১টির নাম ইতোমধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১১টি দলের মধ্যে আরসা সক্রিয় রয়েছে উখিয়া, বালুখালী, পালংখালী ও হোয়াইক্যং ক্যাম্পে। আরসার হয়ে অস্ত্র সংগ্রহে দায়িত্ব পালন করে সাতটি দল। তাদের নেতৃত্ব দেন জসিম উদ্দিন, মুছা, তাহের, সালমান, আকিজ, জুবায়ের ও এমরান। উখিয়া ও পালংখালী ক্যাম্পে সক্রিয় আরএসও। হোয়াইক্যং ক্যাম্পে ‘ইসলামী মাহাজ’ ও ‘জাবু ডাকাত’ নামে দুটি সংগঠন, উখিয়া ও পালংখালীতে মাস্টার মুন্নার দল, নয়াপাড়া ক্যাম্পে চাকমা দল, নবী হোসেন, পুতিয়া, জাকির, সালমান শাহ ও খালেকের নামে ভিন্ন ভিন্ন ডাকাত দল সক্রিয়। এর বাইরে শফি ডাকাতের দল, সালেহ, আবু আলা, ছমিউদ্দিন, নিহত ডাকাত হাসিম, রবিউল, মৌলভী, মো. সেলিম, মামুনুর রশিদ, মাহমুদুল হাসান, আতাউল্লাহ, খায়রুল আলম, তৈয়ব, নূর কবির, মো. ইউসুফ নামের রোহিঙ্গাদের নেতৃত্বে রয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহামুদুল হক চৌধুরী জানান, এসব কর্মকাণ্ডে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর যোগাযোগ ও পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে। মিয়ানমার থেকে ইয়াবা-আইসের চালান এনে অর্থ তৈরি, অস্ত্র এনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছে এসব গোষ্ঠী। দুই হাজারের বেশি রোহিঙ্গা এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।

রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, ক্যাম্পে আরসা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। মূলত মাদকের বেচাকেনা, ক্যাম্পকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ বিভেদ তৈরি হয়েছে। এই বিভেদকে পুঁজি করে আরএসও তাদের তৎপরতা বাড়িয়েছে। এতে আরসার বিভেদ হওয়া সদস্যরা আরএসওতে যোগদান এবং আরএসওর শক্তি বাড়তে পারে এমন শঙ্কায় দলছুটদের টাগের্ট করে হত্যা করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের দাবি, মিয়ানমার থেকে আনা মাদক নিয়ন্ত্রণে এসব গোষ্ঠী তৈরি হলেও এরা মূলত প্রত্যাবাসন ঠেকানো ও চিহ্নিত রোহিঙ্গা নেতাদের হত্যার মিশন বাস্তবায়ন করছে।

ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি সৈয়দ হারুন অর রশিদ বলেন, ক্যাম্পে ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় ক্যাম্পে অপরাধীদের শনাক্ত করে ধরা বেশ কঠিন। সোর্সের মাধ্যমে অপরাধীদের সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্যও পাওয়া যায় না। ফলে অভিযান করে কিছু গ্রেপ্তার হলেও অপরাধ বন্ধ হচ্ছে না। পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে বেশ কয়েকটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র রয়েছে। তাদের পক্ষে আবার ছোট ছোট গ্রুপ কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সাধ্যমতো চেষ্টা চালাচ্ছে।

ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা

গতকাল রাজধানীর নটর ডেম কলেজে সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস উপলক্ষে উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরামের আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকে হত্যার ঘটনা ঘটাচ্ছে। এসব বিচ্ছিন্নতাবাদী সীমান্তে যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য আমরা বর্ডার ফোর্সকে আরও শক্তিশালী করছি।’ তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সম্পর্কে আপনারা জানেন, সেখানে শুধু আরাকান আর্মিদের বিছিন্নতাবাদী নেই, বরং সেখানে কুকি চীনসহ প্রায় ৩০টি গোষ্ঠী সব সময় সংঘর্ষে লিপ্ত। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সেখান থেকেই আসছে। সেখান থেকে আসার কারণে হয়তো এখানে (রোহিঙ্গা ক্যাম্পে) তাদের দু-চারজন অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যেই সংঘর্ষ হয়ে থাকতে পারে। এখানে কে নেতৃত্ব দেবে, সেটা নিয়েই সংঘর্ষ হচ্ছে। আজকের ঘটনাটি আমাদের আরও বিস্তারিত জানতে হবে। ঘটনাটি ঘটেছে, এটা সত্য। এর তদন্ত প্রতিবেদন আমরা দ্রুত জানাব।

© প্রতিদিনের বাংলাদেশ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *