ঢাকা, সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২১ পূর্বাহ্ন
‘রোহিঙ্গাদের ফেরত না নেওয়ার অজুহাতের সুযোগ দিতে চাই না’
উখিয়া নিউজ ডেস্ক :

মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি ও হতাহতের ঘটনায় বাংলাদেশের অবস্থান ঢাকায় প্রায় সব দেশের মিশন প্রধানদের জানিয়ে দিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় কূটনৈতিক এ ব্রিফিংয়ে আসিয়ানভুক্ত দেশের বাইরে অন্য সব দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাই কমিশনারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

তাদেরকে সীমান্ত উত্তেজনার বিষয়ে ব্রিফ করেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল খুরশেদ আলম।

ব্রিফিং শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আজকে যারা এসেছিলেন, অন্যান্য রাষ্ট্রদূতগণ তাদেরকেও আমরা একই জিনিস বলেছি যে, আমরা রোহিঙ্গাদের নিয়েছি পাঁচ বছর হয়ে গেল, তারা একটা রোহিঙ্গাও আজ পর্যন্ত ফেরত নেয়নি, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন যে, আমরা ধৈর্য্যের সঙ্গে কাজ করছি।

‘আসলেই, আমরা ধৈর্য্যের সঙ্গে কাজ করছি। কিন্তু আমরা এমন কিছু করি নাই, যার জন্য মিয়ানমারের গোলা এসে আমাদের যে জনগণ, যারা আমাদের সীমান্তের ভেতরে আছে, তাদের জানমালের নিরাপত্তা ব্যাহত করবে এবং তারা গরু-বাছুর নিয়ে বাইরে যেতে পারবে না, তাদের ধানক্ষেতে যেতে পারবে না, তাদের ঘরবাড়িতে থাকতে পারবে না, এটাতো চলতে দেওয়া যায় না।

‘এই কারণে আমরা তাদের কাছে বলেছি যে, আপনাদের সাহায্য আমরা চাই, যাতে করে মিয়ানমার এ অঞ্চলে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ভবিষ্যতে ফায়দা লুটতে না পারে, যাতে এই রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে না হয়।’

বাংলাদেশ যে ‘চরম ধৈর্য্য’ ধরে পরিস্থিতির ওপর রজর রাখছে, সে কথা কূটনীতিকদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব।

তিনি বলেন, আমরা কোনোভাবে চাই না এখানে জড়িত হতে, যাতে করে এখানে জড়িত হলে মিয়ানমার হয়ত সুযোগ পাবে, এই রোহিঙ্গাদের ফেরত না নেওয়ার জন্য অজুহাত পাবে, সেই রকম কোনো অজুহাত আমরা মিয়ানমারকে এই মুহূর্তে দিতে চাচ্ছি না।

খুরশেদ আলম বলেন, ইচ্ছাপূর্বক আমাদেরকে এই কনফ্লিক্টে জড়ানোর যে প্রচেষ্টা, সেটা আমরা (ব্রিফিংয়ে) বলছি যে, আমরা এই প্রচেষ্টায় জড়িত হব না। আমরা আপনাদেরকে এটা অবহিত করলাম, আপনারা যে অ্যাকশন নেওয়া মনে করেন, যথাযথ মনে করবেন, সেটা আপনারা নেবেন।

কূটনৈতিক পর্যায়ের পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনার বিষয়ে যোগাযোগ হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে খুরশেদ আলম বলেন, “আমরা সর্বস্তরেই মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *