বাংলাদেশের পুলিশিং ব্যবস্থায় বিষ্ময়কর পরিবর্তন নিয়ে আসছে ওসি মো. কামরুজ্জামান!
থানার ওসি বলছেন, “ভাই স্যার ডাকিয়েন না, বিব্রতবোধ করি”। আমরা একটা চুরির ঘটনায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলাম সিএমপি’র বায়েজিদ থানায়। রীতিমতো অবাক করে দিয়ে ওসি সাহেব আমাদের বসিয়ে চা খাওয়ালেন। সমস্যা নিয়ে আলোচনা করলেন। করণীয় সকল কিছু উল্লেখ করলেন। কথাবার্তায় কোথাও পুলিশের গন্ধ পেলাম না। থানায় আমরা যে ক’জন ছিলাম অবাক হয়ে একে অন্যের দিকে তাকাচ্ছিলাম বারবার। এটাও কি সম্ভব বাংলাদেশে! চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান আধুনিক ও মানবিক পুলিশিং-এর এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে চলেছেন। তাঁর সেবা দেখে মনে হলো আমরা কোন বিদেশী এয়ারলাইন্স অফিসে বসে আছি। আমাদের বসিয়ে তিনি আরো ৭/৮জন সেবাপ্রার্থীর সমস্যা সমাধান করে দিলেন ত্রিশ মিনিটের মধ্যেই। বিপুল বিষ্ময় নিয়ে আমি বারবার তাকাচ্ছিলাম লোকটির দিকে। আমি ভুলে যাচ্ছিলাম আমি কোথায়! এরকম মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তা পুরো বাংলাদেশে কয়জন আছে জানি না তবে আমি বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছি আমাদের কামরুজ্জামান ভাইয়ের মতো শ’খানেক পুলিশ কর্মকর্তা তৈরী করা সম্ভব হলে দেশটা সত্যিই রাতারাতি পাল্টিয়ে দেয়া সম্ভব। মনপ্রাণ খুলে দোয়া করছি এই সৎ মানবিক পুলিশ কর্মকর্তাটির জন্য।
বায়েজিদ থানার ওসি (তদন্ত) সাহেবও আমাদের সাথে অভাবনীয় ভাল ব্যবহার করেছেন, যা কোনদিন স্বপ্নেও ভাবতে পারি নাই। থানাটির অন্যান্য কর্মকর্তা ও কনস্টেবলসহ সকলেই অত্যন্ত সিভিলাইজড আচরণ করেছেন, যা দেখে আমাদের দেশ নিয়ে আশ্বানিত হওয়া যায়।
সৈয়দ মামুনুর রশিদ, মানবাধিকারকর্মীর চট্টগ্রাম।
লিখাটি লেখক এর ফেসবুক আইডি থেকে নেওয়া
Leave a Reply