ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন
বহু অপকর্মের মূল হোতা প্রতারক আলি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার
এইচ.কে রফিক উদ্দিন,উখিয়া ::

বন বিভাগের জমি ব্যক্তির নামে খতিয়ান ভুক্ত করার আশ্বাস, এনজিওতে চাকরি দেওয়া,কখনো অ্যাডভোকেট, কখনো গোয়েন্দা সংস্থা লোক, কিংবা কখনো ব্যবসায়ী,আবার কখনো সাংবাদিক ও মানবাধিকার নেতা।ক্ষমতাসীন দলের নেতাসহ বিভিন্ন কৌশলে প্রতারণা করতেন কবির আহমেদ পুত্র মোহাম্মদ আলি।

সে টেকনাফের হ্নিলা ইউনিয়নের নাইক্ষ্যংখালী এলাকার স্হায়ী বাসিন্দা হলেও প্রথম স্ত্রী-সন্তান ত্যাগ করে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করে ক্যাম্প-১ এলাকায় বসবাস করেন।

অবশেষে শনিবার (২৭ মে) দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করেছে উখিয়া থানা পুলিশ।

যদিও এসব পরিচয় গুলো সবই ছিলো রোহিঙ্গা ও স্হানীয় জনগোষ্ঠীকে ভয়-ভীতি প্রদর্শনের জন্য মিথ্যা তথ্য ছড়ানো।এভাবে তার প্রতারণার শিকার হয়ে পথে বসেছেন কয়েক শতাধিক মানুষ। দিনের পর দিন প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।

শুধু তাই নয়,সে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সুন্দরী তরুণীদের টার্গেট করে কক্সবাজারের কটেজে জোন গুলোতে পতিতা হিসেবে বিক্রি করছে এমনও অভিযোগের জনশ্রুতি আছে।

গত কয়েকমাস আগেও তার প্রতারণামূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে লম্বাশিয়া ক্যাম্প অভ্যন্তরে বসবাসরত বাংলাদেশী স্হানীয়রা মানববন্ধন করেছে।

নুরুল আমিন নামক এক যুবক বলেন,
প্রতারক আলীর বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা করা হয়।

আলীর সহযোগী আরেক নারী জুহুরা রোহিঙ্গা তরুণীদের বিভিন্ন সময় প্রলোভন দেখিয়ে পতিতাবৃত্তির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।এই জুহুরা বেগমকে গ্রেপ্তার করলে বেরিয়ে আসবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

দীর্ঘদিন যাবত প্রতারণা করে যাওয়া এই আলী এনজিও সংস্থার নিকট থেকে মসজিদ নির্মাণের অর্থ সংগ্রহ করে দিবে বলে উখিয়ার ভুট্টো নামক এক ব্যবসায়ীর নিকট থেকেও হাতিয়ে নিয়েছে ৩০ হাজার টাকা।

লম্বাশিয়া ক্যাম্প-১ চার রাস্তার মোড় এলাকায়ও মসজিদ নির্মাণ করতে প্রাথমিকভাবে বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধিকে রাজি খুশি করতে মসজিদ কমিটি থেকে ১ লাখ চোয়ান্ন হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজনকে বনভুমির জমি নিজ নামে খতিয়ান ভুক্ত করে দিবে বলে, দুই লক্ষ টাকা নেওয়াকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় ক্যাম্প ইনচার্জ বরাবর শালিসি বৈঠক হয়েছে,তবে উদ্ধার হয়নি টাকা।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ মোহাম্মদ আলি জানান,
তার প্রতারণার বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত হয়েই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *