ঢাকা, মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন
বন্যার্তদের সহায়তায় রাজনৈতিক-ধর্মীয় পরিচয় নয়: তারেক রহমান
উখিয়া নিউজ ডেস্ক :

দল, মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শুক্রবার রাতে বিএনপির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লাইভে এসে তিনি এ আহ্বান জানান।

তারেক রহমান বলেন, ‘বন্যাকবলিত এলাকার মানুষগুলো এখন মহাবিপদে। সহায় সম্বল হারিয়ে লাখো-লাখো মানুষ এখন নিদারুণ অসহায়। এমন পরিস্থিতিতে আপাতত কোনো অভিযোগ পালটা অভিযোগ তুলে সময়ক্ষেপণেরও সময় নেই। বিএনপি বিশ্বাস করে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করাই এই মুহূর্তের প্রধান অগ্রাধিকার।’

দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের বন্যা পরিস্থিতিতে আমি সারা দেশে বিশেষ করে যেসব এলাকা বন্যাকবলিত হয়নি, সেসব এলাকার বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই-আপনারা সমন্বিতভাবে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ান, সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন। বন্যাকবলিত অঞ্চলে খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা এবং ওষুধের সহায়তা দিন। তাদের নিরাপত্তায় পাশে দাঁড়ান।’

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের প্রতি আরও একটি বিষয় বিশেষভাবে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই, আপনারা জানেন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া বিতাড়িত স্বৈরাচার দেশে মানুষে-মানুষে হিংসা, বিরোধ, বিভেদ তৈরি করেছিল। কিন্তু আপনাদের কাছে আমার একান্ত অনুরোধ বন্যার্তদের প্রতি মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে আপনারা দয়া করে কারও কোনো রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় পরিচয়কে প্রাধান্য দেবেন না। একই সঙ্গে আপনারা ব্যক্তিগত কিংবা দলীয় উদ্যোগের পাশাপাশি বন্যার্তদের সহায়তার জন্য সরকার ও প্রশাসন কোনো সহযোগিতা চাইলে দয়া করে সাধ্যমতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। দল, মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াই, আমরা অবশ্যই এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম হবো।’

এদিকে বাংলাদেশের আকস্মিক এই বন্যার জন্য ভারতের দায়িত্বহীনতা ও খামখেয়ালিপনাকেও দায়ী করেন তারেক রহমান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আকস্মিক এই বন্যা দেশের অভ্যন্তরীণ উদ্ভূত কোনো কারণে নয়। বন্যাকবলিত অঞ্চলে লাগাতার ভারী বৃষ্টিপাত হলেও সেটি পূর্বাঞ্চলে বন্যার মূল কারণ নয়। এবারের বন্যার অন্যতম প্রধান কারণ উজানের দেশ প্রতিবেশী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা এবং খামখেয়ালিপনা। তাঁরা হঠাৎ করে বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকাকে ডুবিয়ে দিল। একটিবারের জন্যও বাংলাদেশকে আগাম সতর্কতা দেয়নি। ফলে আকস্মিক বন্যায় দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা ভাসিয়ে নিলেও পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সামান্য একটু প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগটুকু পায়নি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *