ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন
পর্যটক হয়রানি রোধে তৎপর টুরিস্ট পুলিশ
উখিয়া নিউজ ডেস্ক :
নান্দনিক সৌন্দর্যের পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক ভ্রমণে আসেন। ছুটি পেলেই বছরের শেষের দিকে পর্যটকে ভরে উঠে। কিন্তু আনন্দের সময় কাটাতে এসে প্রায় সময় পর্যটকের উপর নেমে আসে নানা বিপত্তি। ফলে কেউ কেউ হয়ে পড়ে সর্বহারা।
পর্যটকের এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে নামে কক্সবাজারের টুরিস্ট পুলিশ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারী) গভীররাতে কক্সবাজার শহরের হোটেল মোটেল কটেজ জোনে অভিযান পরিচালনা করে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এসময় অপরাধী চক্রের ১১ জন পুরুষ ও ৭ জন নারীকে আটক করে। যাদের বিরুদ্ধে পর্যটকদের ব্ল্যাকমেইল করে সর্বস্ব লুটে নেয়াসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার দুপুরে টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন দীর্ঘদিন পর্যটক হয়রানির তথ্য অনুসন্ধান করে তারা জানতে পারেন দালাল চক্র বিভিন্ন কৌশলে পর্যটকদের কটেজ জোনের রুমে নিয়ে যায়। পরে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত নারীদের দিয়ে ভিডিও করে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে সর্বস্ব নিয়ে ফেলে। এতে অপরাধের অভয়ারণ্যে পরিণত হয় কটেজ জোন। যেখানে মাদকের ছড়াছড়ি হয়েছে বেশ। আটক কালে এমন অপরাধের কথা স্বীকার করে অপরাধী চক্রের সদস্যরা।
কটেজ জোনের ৬টি হোটেল চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে এসব অপরাধ সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে। ইতোমধ্যে চিহ্নিত হোটেলের মালিক এবং ম্যানজারদের বিরুদ্ধে তারা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানান। টুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে আরও বলা হয় দালাল চক্রের ৪০-৫০ জন সদস্য রয়েছে। যেখানে নারী রয়েছে ১২-১৩ জন। মূলত তারা দেশের নানা প্রান্ত থেকে নারীদের ফুসলিয়ে কক্সবাজারে নিয়ে এসে এমন অসামাজিক কার্যকলাপে বাধ্য করে। তাদেরও চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ইঙ্গিত দেন ট্যু রিষ্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি। আর যে সমস্ত কটেজ নাম ঠিকানা বিহীন, রেজিষ্ট্রেশন নেই এবং কোনো সাইনবোর্ড নেই সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। মাদক, ছিনতাই, অপরাধের বিরুদ্ধে টুরিস্ট পুলিশ সবসময় শক্ত অবস্থানে থাকবে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *