ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন
নাটকীয়তায় মোড়ানো ম্যাচে রোমাঞ্চকর জয় পাকিস্তানের
উখিয়া নিউজ ডেস্ক :

পাকিস্তানের ইনিংসে ১৫ ওভার পর্যন্ত খেলা ছিল নিউজিল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণে।  ৩৬ বলে প্রয়োজন ছিল ৬৭ রানের।

কিন্তু ১৬তম ওভারে মোহাম্মদ নওয়াজ ও হায়দার আলি কিউই স্পিনার ইশ শোধিকে এমনই তুলোধোনা করলেন যে, ম্যাচের সমীকরণই পাল্টে দিলেন তারা।

শোধির সেই ওভারে ২৫ রান সংগ্রহ করে দুই পাকিস্তানি ব্যাটার। ফলে জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ৩০ বলে ৪২ রানের।

যা ভালোভাবেই পার করে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছেন নওয়াজ-ইফতেখার জুটি।  শেষ ওভারের ৩য় বলে ইফতেখার ছক্কা হাঁকালে ৫ উইকেটে ফাইনাল জিতেছে পাকিস্তান।

ক্রাইস্টচার্চে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় টসে জিতে ফিল্ডিং নেয় পাকিস্তান।

কিউই অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনের ৩৮ বলে ৫৯ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৩ রান তুলতে সক্ষম হয় নিউজিল্যান্ড।

আর ৩ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে  নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে ‘বাংলাওয়াশ’ সিরিজের শিরোপা জয় করেছে বাবর আজমের দল।

১৬৪ রানের তাড়ায় পাওয়ার প্লে থেকে ১ উইকেটে ৩৩ রান তুলতে পেরেছে পকিস্তান।  ৫ম ওভারে অধিনায়ক বাবর আজমকে ফিরিয়ে দিয়ে ২৯ রানের জুটি ভাঙেন মাইকেল ব্রাসওয়েল।

ব্রাসওয়েলের করা দ্বিতীয় ডেলিভারিটি স্লগ সুইপ করতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন বাবর।  ক্যাচ লুফে নেন কিউই অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। ফাইনালে বাবরের ব্যাট ছুঁয়ে এসেছে ১৪ বলে ১৫ রান।

বাবরের পর ওয়ানডাউনে নেমে ধরে খেলতে থাকেন শান মাসুদ।  যে কারণে ১০ ওভার পর্যন্ত আর কোনো বিপদ না ঘটলেও রানের গতি পায়নি তেমন।

১১তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে শান মাসুদকে আউট করে দেন ব্রাসওয়েল।  তার ব্যাট থেকে এসেছেন ২১ বলে ১৯ রান।
পরের ওভারেই কিপার-ব্যাটার রিজওয়ানকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান টিম সাউদি।  চার বাউন্ডারিতে ২৯ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলেছেন এ ওপেনার।

১৬তম ওভারের ৫ম বলে আউট হয়ে যান হায়দার আলি।  টিম সাউদির ডেলিভারিতে ব্যাট চালান হায়দার আলি। টাইমিং হয়নি তার। স্কয়ার লেগে ক্যাম্পবেলের হাতে ধরা পড়েন তিনি।  সাজঘরে ফেরার আগে ১৫ বলে ৩১ রান করেন হায়দার।  তার এই ঝড়ো ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি ও ২ ছক্কার মার রয়েছে।

পরের ওভারের প্রথম বলেই আসিফ আলিকে বোল্টের ক্যাচে পরিণত করেন টিকনার। মাত্র ২ বল টিকে একরান করেন আসিফ। ওই ওভারে শেষ বলে ছক্কা হাঁকান নওয়াজ।

এতে ১৮ বলে প্রয়োজন পড়ে ২৩ রানের। বোল্টের করা ১৮তম ওভার থেকে ১২ রান জমা হয় পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে।

জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ১২ বলে ১১ রান। হাতে ৫টি উইকেট।

পেসার সাউদির করা ১৯তম ওভারে ৭ রান নিতে পারে নওয়াজ-ইফতেখার জুটি।  অর্থাৎ শিরোপা জিততে শেষ ওভারে লাগে ৪ রানের। প্রথম দুই বলে দুই রান নেন ব্যাটাররা। খিকনারের তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন ইফতেখার।

২২ বলে দুই বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ নওয়াজ।  একটি করে বাউন্ডারি ও ছক্কায় ১৪ বলে ২৫ রানের ইমপ্যাক্ট ইনিংস খেলেছেন ইফতেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *