উপকূল অতিক্রমরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে সামান্য দুর্বল হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র আজ রোববার বেলা তিনটায় সিটুয়ের কাছ দিয়ে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে মিয়ানমারের স্থলভাগের ওপর অবস্থান করছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে।
রোববার বিকেল চারটার দিকে রাজধানীর আগারগাঁও থেকে এ বুলেটিন প্রচারিত হয়।
এতে বলা হয়, সম্পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়টি আজ সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল সম্পূর্ণরূপে অতিক্রম করবে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর সংলগ্ন চর ও দ্বীপসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট বেশি বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে অতি ভারী বর্ষণ হবে পারে। এর প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গো মাছ ধরার ট্রলারকে টেকনাফে বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়ের সময় সেন্টমার্টিনে দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ১৪৭ কিলোমিটার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপকূল অতিক্রমরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও সামান্য দুর্বল হয়েছে। ঘুর্ণিঝড়টির কেন্দ্র আজ বেলা ৩টায় মিয়ানমারের সিটুয়ের নিকট দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে দেশটির স্থলভাগের উপর অবস্থান করছে। সম্পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়টি রোববার সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন ও ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
Leave a Reply