ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন
থানায় অস্ত্র জমা দিয়েছেন ডা. মুরাদ
ডেস্ক রিপোর্ট ::

নিজের ও স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসানের নামে লাইসেন্স করা দুটি অস্ত্র থানায় জমা দিয়েছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। গতকাল শনিবার রাতে ধানমন্ডি থানায় অস্ত্রগুলো জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া।

ওসি বলেন, বাসায় যেহেতু তাদের দাম্পত্য কলহ চলছে তাই অস্ত্র নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়। পরে থানায় এসে তারা অস্ত্রগুলো জমা দেন। যার মধ্যে রয়েছে- ডা. জাহানারা এহসানের নামে লাইসেন্স করা একটি শটগান এবং মুরাদ হাসানের নমে লাইসেন্স করা একটি রিভালবার।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে ডা. মুরাদের স্ত্রী ডা. জাহানারা পুলিশের সহায়তা চান। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি ডা. জাহানারা। ধানমন্ডি থেকে বলছি। আমার স্বামী ডা. মুরাদ, এমপি মুরাদ। আমাকে উদ্ধার করুন। প্লিজ, পুলিশ পাঠান, এখনি পুলিশ পাঠান।’ পরে একইদিন ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যার হুমকির অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।

জিডিতে জাহানারা এহসান অভিযোগ করেন, সম্প্রতি ডা. মুরাদ কারণে-অকারণে তাকে ও তার সন্তানদের অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন এবং হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে তিনি আবার তাকে ও তাদের সন্তানদের গালমন্দ করতে থাকেন। একপর্যায়ে মারধর করতে উদ্যত হলে তিনি ৯৯৯-এ কল করেন। তাদের মাধ্যমে জেনে ধানমন্ডি থানা পুলিশ বাসার ঠিকানায় পৌঁছালে ডা. মুরাদ বাসা থেকে বের হয়ে যান। এ অবস্থায় জাহানারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ডা. মুরাদ যে কোনো সময় তার ও সন্তানদের ক্ষতি করতে পারেন।

উল্লেখ্য, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে পড়েন মুরাদ হাসান। ওই বিতর্কের মধ্যেই মোবাইল ফোনে তার কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়। তাতে তিনি এক অভিনেত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেন।

এসব ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত ৭ ডিসেম্বর প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন মুরাদ। পরে আওয়ামী লীগের পদ হারিয়ে ৯ ডিসেম্বর রাতে তিনি কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। তবে প্রথমে কানাডায়, পরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঢোকার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে ১২ ডিসেম্বর ঢাকা ফিরে আসেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *