সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা গেছে, রহমতের বিল এলাকায় ডাম্পারযোগে খালের ওপর মাটি ফেলে ৩০ ফুট লম্বা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত জমি ও মৎস্য চাষের উদ্দেশ্যে এই বাঁধ নির্মাণ করা হয় বলে জানান স্থানীয়রা। বাঁধের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে খালের পানি চলাচল। আর তাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্য মিশ্রিত পানি আটকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। একই সাথে উপদ্রব বেড়েছে মশা—মাছির।
স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাক বলেন, একজনের জন্য পুরো এলাকার মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। পরিবেশের তোয়াক্কা না করে ওই বাঁধ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া খালে বাঁধ দেওয়ার কোন নিয়ম রয়েছে কিনা? তাজনিমার খোলা এলাকার আব্দুর রশিদ ও মমতাজ আক্ষেপ করে বলেন, ৫ একর জমি চাষের জন্য তিন—চার কিলোমিটার বিস্তৃত খাল পাড়ে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। এতে প্রায় ৫ হাজার মানুষকে কষ্ট পাচ্ছে। থাইংখালি বালু মহালের খাইরুল বাশার বলেন, খালে বাদ দিয়ে দূষিত পানি আটকে রাখায় তিন মাস যাবত বন্ধ রয়েছে বালু উত্তোলন। এতে দুই শতাধিক শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। ফলে ইজারাদার চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
থাইংখালী বালু মহালের ইজারাদার বলেন, প্রায় অর্ধ কোটি টাকা রাজস্ব দিয়ে থাইংখালি বালু মহালের ইজারা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ২০২১ সালের স্থানীয় ইউপি নির্বাচন পরবর্তী অস্থিরতা এবং খালে অবৈধ বাঁধ নির্মাণের ফলে বালু উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। ইজারার মেয়াদ রয়েছে দুই মাসের মত। কিন্তু অর্ধেক লগ্নেও মূল পুঁজি উঠে আসেনি। এতে চরম আর্থিক ক্ষতির আশংকা করছি। এ বিষয়ে তড়িৎ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
Leave a Reply