কক্সবাজারের টেকনাফে ৪ ঘণ্টার অভিযানে চোরাকারবারিদের আস্তানায় একটি গাছের গোড়ায় বিশেষভাবে লুকানো অবস্থায় ৩ কেজি ২২১ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ২ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি।
সোমবার (২৫ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হ্নীলার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে খরেরদ্বীপে নাফ নদীর তীরে জঙ্গলের ভেতর চলা অভিযানে এসব মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার বলেন, বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির যথাযথ বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে বিজিবির অভিযানিক কর্মকাণ্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়ন নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে।
বিজিবির এ কর্মকর্তা বলেন, গোপন সূত্রের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, হ্নীলা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১২ থেকে আনুমানিক ৩৫০ মিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে খরেরদ্বীপে নাফ নদীর তীরে জঙ্গলে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে চোরাকারবারিরা লুকিয়ে রেখেছে।
এ তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির দুটি বিশেষ টহলদল সকাল ১০টায় খরেরদ্বীপে নাফ নদীর তীরে জঙ্গলে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। প্রায় ৪ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে দ্বীপের মধ্যবর্তী স্থানে চোরাকারবারিদের একটি গোপন আস্তানা খুঁজে পায়। পরে ওই আস্তানায় একটি গাছের গোড়ায় বিশেষভাবে লুকানো অবস্থায় ৩ কেজি ২২১ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস ও ২ লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি অধিনায়ক আরও বলেন, আস্তানায় অভিযান চালালেও কোনো চোরাকারবারি কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ওই স্থানে অন্য কোনো অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় চোরাকারবারিদের শনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে চোরাকারবারিদের শনাক্ত করার জন্য বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
Leave a Reply