ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২৯ পূর্বাহ্ন
কক্সবাজারে হোটেল-মোটেলে ৬০ শতাংশ ছাড়
উখিয়া নিউজ ডেস্ক :

কক্সবাজারে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভালের আয়োজন করছে জেলা প্রশাসন। এ আয়োজন চলবে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত। ইতোমধ্যে পর্যটন মেলা ও কার্নিভালকে ঘিরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে পর্যটন মেলার মঞ্চ ও দুই শতাধিক স্টল নির্মাণ করা হয়েছে। হোটেল-মোটেল থেকে শুরু করে খাবারের রেস্তোরাঁ, কিটকটসহ পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সব প্রতিষ্ঠানে বিশেষ ছাড় দেওয়াসহ নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি।

পর্যটন মেলার আহ্বায়ক ও কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন বলেন, পর্যটকদের কথা চিন্তা করে কক্সবাজারে হোটেল মোটেল মালিক থেকে শুরু করে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যটন মৌসুমকে বরণে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত সব হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসগুলোতে ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। একইসঙ্গে খাবারের রেস্তোরাঁয় ১৫, সব বাস ভাড়ায় ২০, হেলিকপ্টার জয় রাইডে ১০, টিউব ভাড়ায় ৩০, কিটকট চেয়ার ভাড়ায় ৩৩, ফটোগ্রাফারদের মাধ্যমে ছবি তোলা প্রতি কপি দুই টাকা, প্যারাসেইলিং রাইডে ৩০, জেটস্কি ও বিচ বাইক রাইডে ৩৩, লকার ভাড়ায় ৫০, গাড়ি পার্কিংয়ে ৫০, ফান গেমে ৫০ শতাংশসহ চাঁদের গাড়ি ও বিমান ভাড়ায় বিশেষ ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিনামূল্যে সার্কাস শো’র ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল উপলক্ষে পর্যটকদের আনন্দ দিতে ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় উন্মোচন হবে ‘থিম সং’। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিনই সকাল ১০টা হতে ঘণ্টাব্যাপী চলবে সৈকত এলাকায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান। ২৫ সেপ্টেম্বর দিনব্যাপী চলবে শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা। ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরে পুনরায় লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত থাকছে বর্ণাঢ্য র‌্যালি। এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় উদ্বোধন হবে পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল। সকাল পৌনে ১০টায় থাকছে বৃক্ষরোপণ ও আলোচনা সভা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে মহেশখালী জেটি পর্যন্ত চলবে নৌ-র‌্যালি। এ ছাড়াও প্রতিদিন সার্কাস প্রদর্শনী, বিচ বাইক র‌্যালি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিজে শো, আতশবাজি, রোড শো, সেমিনার, ঘুড়ি উৎসব, ম্যাজিক শো, ফায়ার স্পিন, লাইফ গার্ড রেসকিউ প্রদর্শনী, ফানুস উৎসব, সার্ফিং প্রদর্শনী, বিচ ম্যারাথন, বিচ ভলিবল, পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান এবং কনসার্ট।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের কাজ হচ্ছে পর্যটকদের নিরাপত্তা দেওয়া। মেলা উপলক্ষে বাড়তি সতর্ক থাকবে পুলিশ। ট্যুরিস্ট পুলিশ ছাড়াও বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে থাকবে সাদা পোশাকধারী পুলিশ ও বিভিন্ন সংস্থার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

কক্সবাজার কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোখিম খান বলেন, পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে, হোটেলের মান রেখে কিছু কিছু হোটেল-মোটেল ছাড়ের ক্ষেত্রে কমবেশি হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *