ঢাকা, মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২৯ পূর্বাহ্ন
ওপারে গোলাগুলি কমলেও তুমব্রু সীমান্তে আতঙ্ক কমেনি
উখিয়া নিউজ ডেস্ক :

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের ওপারে শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। ওপার থেকে কোনো মর্টারশেলও এসে পড়েনি। তবে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক কমেনি।

সীমান্তের ওপার থেকে কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক গোলাগুলি ও মর্টারশেল নিক্ষেপের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। মাঝে মধ্যেই গুলি ও মর্টারশেলের গোলা এসে পড়ছে বাংলাদেশের ভেতরে।

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম এলাকার তুমব্রু সীমান্ত নদীর পূর্ব পার থেকে কিছু দূরে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ঢেঁকুবুনিয়া সীমান্ত চৌকি। ওই এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত টানা গোলাগুলি হয় বলে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন।

শূন্যরেখা থেকে কিছু দূরে হওয়ায় তুমব্রু, কোণারপাড়া এলাকায় কোনো সমস্যা হয়নি। সকাল থেকে কোনো গোলাগুলির আওয়াজও পাওয়া যায়নি, তবে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আছে।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, সীমান্তের ওপারে মাঝেমধ্যে গোলাগুলি হলেও আমার ইউনিয়নে আপাতত কোনো সমস্যা নেই। কৃষকরা কাজকর্ম স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন। তারপরও সাবধানে কাজকর্ম করার জন্য মাইকিং করে জনসাধারণকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ও তুমব্রু সীমান্তের ওপারে গত বছর থেকে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিজিপির গোলাগুলির ঘটনা ঘটে আসছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে সংঘর্ষ তীব্র রূপ নিয়েছে। দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি, হাল্কা ও ভারি অস্ত্র বিস্ফোরণের শব্দে কম্পিত হচ্ছে তুমব্রু, বাইশফারি, ফাত্রাঝিরি, রেজু আমতলি, গর্জবনিয়াসহ সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা চলছে। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত ঘুমধুম সীমান্তের কোথাও তেমন গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাওয়া যায়নি। সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *