ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন
উখিয়ায় বিট কর্মকর্তাকে টাকা দিলেই বৈধতা মিলে পাহাড় কাটার!
উখিয়া নিউজ ডেস্ক :

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের পালংখালী মোছারখোলা বনবিটের আওতাধীন বনভূমিতে অবৈধ স্হাপনা, বনভূমি দখল করে বিক্রি, পাহাড় কেটে মাটি পাচারের বৈধতা দেন বিট কর্মকর্তা বেলাল হোসেন।এসব অপরাধ করতে বিট কর্মকর্তার চাহিদামত টাকা দিলে বৈধতা দিয়ে থাকে।টাকার বিনিময়ে সরকারি বনাঞ্চলে অবৈধ স্থাপনা নির্মান সহ নানান অপরাধে সহযোগিতা করলেও উর্ধবতন কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না।

অনুসন্ধানে উঠে আসে,মোছারখোলা বনবিটের চিহ্নিত ভুমিদস্যু, গাছ খেকো,বনভূমি ও দখলকারীদের সাথে বিট কর্মকর্তা বেলাল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের সাথে আতাঁত করে সরকারি সম্পদ ধ্বংস করে নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।মোছারখোলা বিটের জামবনিয়া,মোছারখোলা,ছোয়ানখালী সহ বিভিন্ন স্হানে বনভূমিতে স্থাপনা নির্মান,পাহাড় কেটে মাটি পাচারে সহযোগিতা করে সরকারি বনভুমিকে বিরানভুমিতে পরিনত করে আসছে।

অনুসন্ধানে আরও উঠে আসে,সামাজিক বনায়ন ও সুফল প্রকল্পের বাগানে চারা রোপন করতে পাশ্ববর্তী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে শ্রমিক এনে বাগানের কাজ করা হয়।বাগানের জঙ্গল কাটা ও পরিচর্যা এই রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে করানো হয়।বাগানে রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোর ফলে স্হানীয় লোকজন বঞ্চিত হচ্ছে বলে দাবি করেন সচেতন মহল।

সরজমিনে গিয়ে বনভূমি দখল করা বাড়ি নির্মাণকারীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,আমরা বিট অফিসারকে টাকা দিয়ে স্থাপনা নির্মান কাজ শুরু করেছি। এখানে আমাদেরকে বাধা দেওয়ার কেউ নেই। যেহেতু বন বিভাগের সাথে আমাদের ঠিকঠাক আছে।বনবিভাগকে টাকা দিলে আর কোন সমস্যা হয়না।অন্যদিকে পাহাড় খেকোরাও একই কথা জানান,বিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে আমরা মাটি পাচার করছি।তাকে ম্যানেজ না করলে তো এভাবে পাহাড় কেটে মাটি পাচার করতে পারতাম না।

সরেজমিনে গিয়ে আরও জানা যায়, মোছারখোলা বিটের আওতাধীন হাতির অভয়ারণ্যে বিশাল আকারে বনভূমি বিভিন্ন লোকজন দখল করে রেখে মাছ চাষ,নিজস্ব বাগান সহ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে খন্ড খন্ড করে বনভূমি বিক্রি করছে।এসব করার জন্য তাদের কাছ থেকে চুক্তিভিত্তিক মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় বিট কর্মকর্তা বেলাল।

এবিষয়ে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাজী মো: শফিউল আলম বলেন,আমরা তদন্ত করে খুব শীগ্রই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *