কক্সবাজারের ৪ স্কুল শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন ৩ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে এপিবিএন পুলিশ। অপহরণের পর গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) থেকে শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে টেকনাফের নয়াপাড়া থেকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ রোহিঙ্গাকে আটক করে এপিবিএন পুুলিশ। তবে অপহৃত ৪ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
আটককৃতরা হলেন, রোহিঙ্গা শরনার্থী নুর সালাম (৫০), রনজন বিবি(১৩), সাদ্দাম মিয়া।
নয়াপাড়া এপিবিএন ক্যাম্পের কমান্ডার শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ বিন কালাম (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) ও জাদিমুরা এপিবিএন ক্যাম্পের কমান্ডার কামরুল হাসান জানান, অপহৃত চারজন ভিকটিম উদ্ধারে নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং আটককৃত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সেন্টমার্টিনে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ৪ শিক্ষার্থীকে কক্সবাজারের রামুর খুনিয়া পালং ইউনিয়নের হিমছড়ি পেঁচারদ্বীপ থেকে অপহরণ করে রোহিঙ্গারা। গত মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেঁচারদ্বীপ মাঙ্গালাপাড়া বাতিঘর কটেজ এলাকা থেকে এ স্কুল শিক্ষার্থীদের সেন্টমার্টিনে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে এ অপহরণ করা হয়। পরবর্তীতে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে একটি রোহিঙ্গা অপহরণ চক্র।
স্কুল ছাত্র জাহেদুল ইসলামের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে গেছে ওই দুইজন। যাওয়ার পর থেকে যখন বাড়ি ফিরছে না তখন থেকে তাদের খোঁজখবর নিতে ফোন দিলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীমের মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বুধবার দুপুরে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী পরিচয়ে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করছে।
অপহরণের শিকার কায়সারের চাচা মোহাম্মদ তাহের বলেন, মূলত জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম চারজনকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেয়ার কথা বলে নিয়ে যান। পরে তাদের মুঠোফোন ব্যবহার করে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে। ২০ লাখ টাকা দেয়ার মতো তাদের সাধ্য নেই।
অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে রামু থানার ওসি (দায়িত্বপ্রাপ্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, যেহেতু বিষয়টি টেকনাফ থানায় এলাকায় পড়েছে। আমরা তাদের সহযোগিতায় বিষয়টি তদন্ত করবো। নিজেদের জায়গা থেকে যতটুকু পারা যাবে ততটুকুই চেষ্টা করবে পুলিশ।
Leave a Reply