ঢাকা, রবিবার ২১ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন
মুহিবুল্লাহর পরিবারের বিদেশে আশ্রয় চাওয়ার গুঞ্জন
উখিয়া নিউজ ডেস্ক :

দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহর পরিবারের সদস্যরা বিদেশে আশ্রয় নিতে চাচ্ছেন বলে গুঞ্জন চলছে।

রোহিঙ্গাদের একটি সূত্র দাবি করেছে, নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে মুহিবুল্লাহর পরিবার, তার ছোটভাই হাবিব উল্লাহর পরিবার ও ভাগনে রশিদ উল্লাহসহ ১২ জন বাংলাদেশ ছাড়তে চাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তারা তিনটি দেশের নাম উল্লেখ করে দুই ধাপে দুটি বিদেশি সংস্থা ও একটি দেশের প্রধান বরাবর আবেদন জমা দিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রবাসী একজন রোহিঙ্গা নেতা জানান, ইউরোপের একটি দেশের পক্ষ থেকে মুহিবুল্লাহর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আপত্তি না থাকলে তারা নিয়ে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এখন মুহিবুল্লাহর পরিবার যেতে রাজি হলে  তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিয়ে যেতে ব্যবস্থা করবে।

তবে এ বিষয়ে মুহিবুল্লাহর পরিবারের কারও বক্তব্য পাওয়া  যায়নি।

মুহিবুল্লাহ পরিবারের বিদেশে আশ্রয় চাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক রোববার বিকালে যুগান্তরকে বলেন, এ ধরনের কোনো তথ্য আমাদের জানা নেই। তবে মামলা তদন্ত ও নিরাপত্তার স্বার্থে মুহিবুল্লাহর পরিবারসহ কয়েকজনকে ক্যাম্পের বাইরে একটি সেন্টারে সরিয়ে রাখা হয়েছে। পুলিশ সেখানে তাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে।

এ বিষয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) শাহ রেজওয়ান হায়াত রোববার বিকালে যুগান্তরকে বলেন, আমাদের কাছে মুহিবুল্লাহর পরিবার কোনো আবেদন করেনি। তাছাড়া বিষয়টি আমাদের এখতিয়ারের বাইরে। তবে যদি তারা কোনো দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেখানে যেতে চায় সেক্ষেত্রে সেই দেশের সঙ্গে সব প্রক্রিয়া শেষে কাগজপত্রগুলো পররাষ্ট্র দফতর থেকে আমাদের কাছে আসবে। তারপরই বলা সম্ভব, তারা অন্য কোনো দেশে যাচ্ছেন কিনা।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ক্যাম্পের ভেতরে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন নিহত মুহিবুল্লাহর ছোটভাই হাবিবুল্লাহ ১৫-২০ জন অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জন সন্দেহভাজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ইলিয়াস নামের একজন রোহিঙ্গা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *