ঢাকা, শনিবার ২০ জুলাই ২০২৪, ০১:৪২ অপরাহ্ন
প্রতারণা করে ‘বিপিএম-পিপিএম’ পদক হাতিয়ে নেয় ওসি প্রদীপ
ডেস্ক রিপোর্ট ::

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় আসামিদের দেওয়া বক্তব্যের ওপর টানা ৪ দিনের যুক্তিতর্কের প্রথম দিনে ৬ আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে। তারা হলেন পুলিশের করা হত্যা মামলার সাক্ষী নিজামুদ্দিন, আয়াস, নুরুল আমিন, এপিবিএনের তিন সদস্য শাহাজাহান, রাজিব হোসাইন, আবদুল্লা আল মাহমুদ।

রোববার (৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম বলেন, রাষ্টপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রমাণে সক্ষম হয়েছে। ওসি প্রদীপ এবং লিয়াকত আলীর উপস্থিতিতে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে যা আদালতে উপস্থাপিত হয়েছে। ১২ জানুয়ারির মধ্যে যুক্ততর্ক শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই আইনজীবী।

মামলার রায়ে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা তথা বিপিএম ও পিপিএম পদক বাতিল চেয়ে আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষ বলে, রাষ্ট্রের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রদীপ প্রতারণা করে এসব পদক হাতিয়ে নিয়েছে।

যুক্তিতর্ক শেষে এজলাস থেকে বেরিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী, অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে।

চারদিনের এই যুক্তিতর্ক চলবে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। যুক্তিতর্ক উপলক্ষে রোববার সকালে কড়া নিরাপত্তায় সাবেক ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে খুন হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনার ৫ দিন পর ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি এবং টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।

চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা তদন্তের পর ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

২৭ জুন ১৫ আসামির বিরুদ্ধে মামলাটির বিচারের জন্য অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর গত ২৩ আগস্ট কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা শুরু হয়ে শেষ হয় গত ১ ডিসেম্বর যেখানে ৬৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *