বাংলাদেশ – মায়ানমার সীমান্তের বহুল আলোচিত মাদক ও ইয়াবা সিন্ডিকেটের মুল হোতা কামাল উদ্দিন মেম্বারকে আইনশৃংখলা বাহিনী অবশেষে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
সীমান্তের প্রতাপশালী ইয়াবাকারবারী কামাল দীর্ঘ এক যুগধরে সীমান্ত এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। সে নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা দাবী করে সীমান্ত জনপদে নানান অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। সে একই সাথে স্হানীয় ইউপি সদস্য হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পাহাড় কাটা, বনাঞ্চল ধ্বংসসহ পরিবেশ বিনষ্ট করছে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা। এই বির্তকিত ব্যক্তি নিজে সাধু দাবী করে মাদক ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে সরব প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ,
সেমিনার,র্যালি ও মানববন্ধনে মাদকের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ চাইতেন! সেই প্রতিবাদী কামাল উদ্দিন মেম্বারকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা সহ র্যাব আটক করেছে। কামালকে আটক করাই অনেকেই বিস্মিত। আর কামাল উদ্দিন চায়ের দোকানে খোশগল্পে ধর্মীয় বিশ্বাস দেখিয়ে বলতো সে মাদকের বিরুদ্ধে।সে কোন মাদকের সাথে জড়িত নয়।
তাহলে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা কোথায় থেকে আসল প্রশ্ন জাগছে অনেকের।তবে কামাল উদ্দিন মেম্বারের বড় ভাই আবদুর রহিম ভুট্টো ডাকাত ও ছোট ভাই মুফিজের বিরুদ্ধে ইয়াবা,স্বর্ণ ও চোরাচালানের পণ্য লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে।এমনকি মাদক মামলাও রয়েছে ভুট্টো ও মুফিজের নামে।দুইভাই কামাল মেম্বারের ছত্রছায়ায় এসব অপকর্ম করে বেড়াতো বলে স্থানীয়দের অনেকেই জানান।
র্যাব-১৫’র একটি অভিযানিক দল বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির
ঘুমধুম বেতবনিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে কামাল উদ্দিন নামের স্থানীয় এক ইউপি সদস্য কে বাড়ি থেকে আটক করেছে।
এসময় তার বাড়ির ভেতর ও বসতভিটা এলাকা থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে র্যাব সুত্র দাবী করেন।৪ মার্চ রাত আনুমানিক ১টা ৩০ মিনিটের সময় উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ঘুমধুম বেতবুনিয়া বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।ধৃত কামাল উদ্দিন(৪৮) ঘুমধুম ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বেতবনিয়া বাজার এলাকার আলতাফ হোছনের ছেলে।কামাল উদ্দিন ঘুমধুম ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৪ নং ওয়ার্ডের টানা দুইবারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য।তাকে সকাল সাড়ে ১১ টার সময় ইয়াবাসহ নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে সত্যতা নিশ্চিত করেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি টানটু সাহা।
Leave a Reply