ঢাকা, শুক্রবার ২৬ জুলাই ২০২৪, ১০:০৬ অপরাহ্ন
উখিয়ার পূর্বরত্না থেকে গভীর রাতে সংঘবদ্ধ ১৮ রোহিঙ্গা আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক ::

বহুল আলোচিত কক্সবাজারের উখিয়ার পূর্বরত্না ফোর মার্ডার সংলগ্ন এলাকায় শিশু বড়ুয়ার বাড়ি থেকে গভীর রাতে সংঘবদ্ধ ১৮ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে উখিয়া থানা পুলিশ।

আটক রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ক্যাম্প প্রশাসনের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে এমনটি জানা গেছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্টা বিরাজ করতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, সোমবার (১৩ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে রত্নাপালং ইউনিয়নের পূর্বরত্না গ্রামের শিশু বড়ুয়ার বাড়িতে অবস্থানরত এসব রোহিঙ্গাদের আটক করে। স্থানীয়দের খবরে পুলিশ এই অভিযান পরিচালনা করে।

এর আগে শিশু বড়ুয়া কর্তৃক অবৈধ ভাবে রোহিঙ্গা কলোনী গড়ে তুলে স্থানীয় লোকদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ মাদক সেবন, পাচার ও নারী কেলেঙ্কারী সহ বহুমূখী অপরাধ করছে মর্মে স্থানীয় মানুষের জানমালের নিরাপত্তার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১৪-এপিবিএন অধিনায়ক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্বপন বড়ুয়া নামে এক যুবক।

এদিকে রোহিঙ্গা আটককালীন সময়ে ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয় কয়েকজন জানিয়েছেন, গভীর রাতে পূর্বরত্না গ্রামের বুচারাম বড়ুয়ার ছেলে শিশু বড়ুয়ার বাড়ি থেকে রোহিঙ্গা আটকের বিষয়টি উদ্বেগজনক। কারণ, ২০১৯ সালে প্রবাসী রোকেন বড়ুয়ার বাড়িতে তার স্ত্রী-সন্তান, মা এবং ভাইজি হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। যার আসল ক্লু বের হয়নি এখনো। তাছাড়া সম্প্রতি প্রতি রাতে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটছে বলে জানান তারা।

এ ব্যাপারে সদ্য প্রবাস ফেরত রুপন বড়ুয়া বলেন, এলাকায় চুরির ঘটনার খবরে আতংকে রাত কাটাচ্ছি। এখন নতুন করে রোহিঙ্গা আটকের বিষয়টি নিয়ে শংকায় আছি। তিনি রোহিঙ্গা আশ্রয়দাতার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থার নেয়ার দাবী তুলেন।

এ বিষয়ে জানতে সরেজমিনে গিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দাতা শিশু বড়ুয়ার হদিস মেলেনি। ফোনেও সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী- পূর্বরত্না থেকে ১৮জন রোহিঙ্গা আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে উল্লেখিত রোহিঙ্গাদের আটক করে পুলিশ। আটককৃতদের বিষয়ে সিআইসিকে অবহিত করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এছাড়া যে ব্যক্তির বাড়ি থেকে রোহিঙ্গা আটক করা হয়েছে, তার বিষয়ে তদন্ত করে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এদিকে ফোর মার্ডার সংলগ্ন এলাকা থেকে রোহিঙ্গা আটকের বিষয়টি গভীর ভাবে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পূর্বরত্না গ্রামের প্রবাসী রোকেন বড়ুয়ার পরিবারে ৪ জন নারী-শিশুকে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। যে ঘটনার প্রকৃত ক্লু বের করতে এখনো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *