লিওনেল মেসি প্যারিসে চলে যাওয়ার পর বার্সেলোনার ১০ নম্বর জার্সিটা ওঠে তার গায়ে। যখন মাঠে নেমেছেন, নিজেকে প্রমাণও করেছেন স্প্যানিয়ার্ড তরুণ আনসু ফাতি। যদিও ইনজুরির কারণে ঠিকমতো মাঠেও নামতে পারেননি তিনি। চোট কাটিয়ে এখন সুস্থ বার্সা ফরোয়ার্ড। দীর্ঘ ইনজুরির সময়টা কেমন কেটেছে তার? ১৯ বছর বয়সী আনসু ফাতি জানান, ইনজুরির সময়টা নামাজ পড়ে সৃষ্টার কাছে সাহায্য চেয়েছেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে গিনি-বিসাউ বংশোদ্ভূত ফুটবলার আনসু ফাতি বলেছেন, ‘আমার পরিবারই সবচেয়ে বেশি সমর্থন দিয়েছে। তাদের ছাড়া আমি কোথায় থাকতাম জানি না। তাদের জন্যই আজকের আমি।
আমার ইনজুরির সময় অনেক নামাজ পড়েছি। নিজের ও পরিবারের সবার জন্য সুস্বাস্থ্য কামনা করেছি। আমি ও আমার পরিবার মুসলমান। আমরা বিশ্বাস করি (আল্লাহতে)। আমি বিশ্বাস করি কঠোর পরিশ্রম ও আল্লাহর সাহায্যে সবকিছু সম্ভব।
১৬ বছর ৩০৪ দিন বয়সে গোল করে ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে কম বয়সী গোলদাতা হয়েছেন ফাতি। ওই গোল নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এটা বিশ্বাস করিনি। এটা খুব দ্রুত ঘটে গেছে। আমার মনে আছে হাতটা মুখের ওপর রেখেছিলাম কারণ সত্যি বলতে আমি জানতাম না কোথায় আছি।’
বার্সেলোনা ছিল তার স্বপ্নের ক্লাব। এই খেলার স্বপ্নপূরণ হওয়ার পর কেমন লেগেছিল ফাতির? তিনি বলেন, ‘আমার মনে আছে প্রথম যখন অনুশীলনের জন্য ডাকা হয়, আমি আমার বাবাকে কল দেই কিন্তু উনি ধরেননি। এরপর আমার মাকে কল দেই, উনি কান্না শুরু করেন। বার্সার হয়ে খেলা আমার স্বপ্ন ছিল। যেদিন আমার অভিষেক হয় বার্সার হয়ে, সবকিছু আমার মাথার মধ্যে ঘুরছিল, এটা ছিল খুব রোমাঞ্চকর আর বিশ্বের সেরা ক্লাবের হয়ে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।’
Leave a Reply